বিএনপির রাজনীতি লাশের উপর প্রতিষ্ঠিত : তথ্যমন্ত্রী

0
550

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি লাশের উপরে প্রতিষ্ঠিত। সেই কারণে তারা লাশ সৃষ্টি করতে চায়। আর আগস্ট মাস আসলেই তাদের এই প্রবণতাটা আরো বেড়ে যায়।

বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ভোলায় ছাত্রদল নেতা নিহতের ঘটনায় বিএনপির হরতাল ডাকা ও একটি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক শেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে সরকার পতনের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিচালক এ এস এম আবুল হোসেন, সিনিয়র প্রকৌশলী ভাস্কর দেওয়ান ও আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক হীরক খান।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভোলাতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি। সারা বাংলাদেশে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে লাশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের গত কয়েক দিনের উসকানিমূলক বক্তব্যে এটিই প্রমাণিত হয়। তবে জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতিটা লাশের উপর প্রতিষ্ঠিত। জিয়াউর রহমান লাশের উপর পাড়া দিয়েই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল। ক্রমাগতভাবে বহু সৈনিকের লাশের উপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন। লাশের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখল করে ক্রমাগতভাবে লাশ সৃষ্টি করে দেশ পরিচালনা করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, এরপর বেগম খালেদা জিয়াও একইপথ অনুসরণ করেছেন। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে কিভাবে অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে লাশ বানিয়ে সেই লাশ আবার পুড়িয়ে অঙ্গার করে ফেলেছে। লাশের ওপর দাঁড়িয়েই তাদের রাজনীতি। ভোলায় তারা যে মিছিল ও সমাবেশ করবে তা পুলিশকে জানায়নি। এরপরও পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেছে। যখন তারা দোকানপাট ভাঙচুর এবং পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করল, বিএনপির সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। সে গুলিতে পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছে, আরেকজন কনস্টেবলকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিএনপি অফিসে মারধর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। সেখানে তাদের দুজন কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। আগে যিনি মৃত্যুবরণ করেছে ডাক্তারের রিপোর্ট হচ্ছে তার হেড ইনজুরিতে মৃত্যু হয়েছে। হেড ইনজুরি ইট-পাটকেলের আঘাতেই হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ইট-পাটকেল তো বিএনপিই ছুড়েছে। তাদের পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ানোর দায়-দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। তাদের মৃত্যুর জন্যও দায়ী বিএনপি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নাম ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে মিটিং করছে। তাদের এই মিটিং দেখে অনেকে আবার নতুন দল গঠন করার উৎসাহী হচ্ছে, বিএনপি কখন তাদের ডাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।