অবৈধ হওয়া সত্যেও অনেক প্রবাসী হুন্ডিতে তার স্বজনদের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন। কেউ জেনে আবার কেউ না যেনেই হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন। এবার হুন্ডি বন্ধে আরো কঠোর অবস্থানে গেল বাংলাদেশ সরকার। এখন থেকে হুন্ডিতে টাকা পাঠালে বিপদে পড়বেন প্রবাসীর স্বজন।
হুন্ডির ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। আটক ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন বিকাশ এজেন্ট, ৩ জন বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার, ৩ জন বিকাশের ডিএসএস, ২ জন হুন্ডি এজেন্ট, একজন হুন্ডি এজেন্টের সহযোগী ও একজন হুন্ডি পরিচালনাকারী।
অবৈধ হওয়া সত্যেও অনেক প্রবাসী হুন্ডিতে তার স্বজনদের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন। কেউ জেনে আবার কেউ না যেনেই হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন। এবার হুন্ডি বন্ধে আরো কঠোর অবস্থানে গেল বাংলাদেশ সরকার। এখন থেকে হুন্ডিতে টাকা পাঠালে বিপদে পড়বেন প্রবাসীর স্বজন।
হুন্ডির ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। আটক ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন বিকাশ এজেন্ট, ৩ জন বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার, ৩ জন বিকাশের ডিএসএস, ২ জন হুন্ডি এজেন্ট, একজন হুন্ডি এজেন্টের সহযোগী ও একজন হুন্ডি পরিচালনাকারী।
সিআইডি প্রধান বলেন, যারা বিদেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা পাঠাচ্ছেন এবং দেশ থেকে সে টাকা গ্রহণ করছেন, তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সিআইডি মনিটরিং করছে। আমার ধারণা কোনো প্রবাসী চাইবেন না তার অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর জন্য তার স্বজন আইনের মুখোমুখি হোক।
বাংলাদেশ সরকার বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে, এরপরেও বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা না পাঠিয়ে অবৈধভাবে কেন বাংলাদেশিরা টাকা পাঠাচ্ছেন। এই প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আমাদের একটি মিটিং হয়েছে। আমার বিশ্বাস এর একটি সুষ্ঠু সমাধান হবে।
তিনি বলেন, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্ট অবৈধ কার্যক্রম করছে। আমরা টার্গেট করে তিনটি গ্রুপকে ধরেছি। ইতোমধ্যে যারা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। সিআইডির তৎপরতায় সেখান থেকে তারা সরে আসতে শুরু করেছে। আমরা ইন্টেলিজেন্স বেইজ অপারেশন পরিচালনা করি। সিআইডি ৫ হাজার মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্টদের নজরদারির মধ্যে রেখেছে। দুই- একদিনের মধ্যে অবৈধ লেনদেন ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে যাবে।
১৬ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গত চার মাসে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা পাচার হয়েছে। এছাড়াও এমএফসের মাধ্যমে হুন্ডি করে এমন ৫ হাজারের বেশি এজেন্টের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, তারা এমএফএস সেবা বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় ব্যবহার করে হুন্ডির সঙ্গে জড়িত। এই ৫ হাজার এজেন্ট গেল চার মাসে ২৫ হাজার কোটি ও গত এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।