বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানী মালের ৫তারকা হোটেল জেন এর হলরুমে মালদ্বীপের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যদের সম্মানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সল নাছিম ।বাংলাদেশকে “উন্নয়ন বিস্ময়” উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত করার সরকারের ভিশন তুলে ধরা হয় মালদ্বীপে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে স্বগতম বক্তব্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াল এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রাম, দুরদর্শী নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে তথা যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন দানকারী দেশ ও জনগনের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে উন্নয়ন, কূটনীতি, ক্রীড়া, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে মালদ্বীপের অনুকরণীয় সাফল্য তুলে ধরেন। হাইকমিশনার মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অব্যাহত সহযোগীতার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ও মালদ্বীপ সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধান অতিথি মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন গৌরবময় নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন, যিনি বাঙালির জন্য তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেন।
তিনি ৭ই মার্চের ভাষণের কথাও উল্লেখ করেন যা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারের মেমোরিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি মালদ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশিদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অভিনন্দন জানান। তিনি দুই দেশের সুসম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও স্বার্থ নিয়ে কথা বলেন। তিনি মালদ্বীপের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান বিশেষ করে করোনার সময়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস, মহান স্বাধীনতা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, দর্শনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শিল্প ও সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অতিথিদের কে পাটের ব্যাগ ও সুতি কাপরের গেঞ্জি উপহার প্রদান করেন, হাইকমিশনার রিয়াল এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ এবং দূতালয়ের প্রথম (শ্রম) সচিব সোহেল পারভেজ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনারা বাংলাদেশের প্রসংসা করেন। এছাড়া ও মালদ্বীপর উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী, প্রবাসী ডাক্তার, ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দসহ প্রায় শতাধিক অতিথী উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।